তৃতীয়বার রিং হতে অপরপ্রান্তে রিসিভার তুলল কেউ। সিনথিয়া বারো, প্রাক্তন স্ত্রীর কণ্ঠস্বর চিনতে পারল পিটার, উদ্বেগে ভরা। সিনথিয়া, আমি পিটার! ওহ, থ্যাঙ্ক গড, পিটার! রুদ্ধশ্বাসে বলল সিনথিয়া। তোমাকে আমি দুদিন ধরে কোথায় না খুঁজছি! শুনেছ সব…? না। মেলিসা-জেইন কি তোমার সাথে, পিটার? না। মনে হলো, গ্রহটা কাত হয়ে যাচ্ছে ওর পায়ের নিচে। ও নেই, পিটার। হারিয়ে গেছে! আজ দুই রাত হলো! আমি বোধ হয় পাগল হয়ে যাব! পুলিশকে জানিয়েছ? হ্যাঁ, সিনথিয়ার গলায় হিস্টিরিয়ার ভাব। যেখানে আছে, সেখানেই থাকো, আমি আসছি ইংল্যান্ডে। কোনো মেসেজ থাকলে ডরচেস্টারে পাঠাবে। ফোন কেটে দিল পিটার। দুঃখ-শোকে-আতঙ্কে বেসামাল হয়ে পরেছে। ডেস্কের পাশে ফ্যাকাসে চেহারা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ব্যারনেস ম্যাগডা, হাত দুটো বুকের ওপর ভাঁজ করা। কোনো প্রশ্ন করার দরকার নেই, পিটারের চেহারাতেই সব লেখা রয়েছে। পিটারও কিছু না বলে শুধু ছোট্ট করে মাথা ঝাঁকাল। ফোনের দিকে ঝুঁকে ছিল পিটার, ঝুঁকেই থাকল। আবার ডায়াল করছে। কলিন নোবলস, রিসিভারে হুঙ্কার ছাড়ল পিটার। বল আমি জেনারেল স্ট্রাইড এবং জরুরি...