-->
আমাদের ওয়েবসাইটে সাউন্ড সিস্টেম আছে । আপনি টেক্সট সিলেক্ট করলেই আমাদের সিস্টেম কথা বলবে । মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে "Allow" বাটনে ক্লিক করুন ।

ি, ি...

খুব সাম্প্রতিক পোস্ট হওয়া গল্প - -

Latest Posts

Explore a world of captivating stories from various genres and perspectives with our website dedicated to showcasing the beauty and power of storytelling.

৮. নাম বদল

শুধু নামটা লড থেকে বদলে বেন গারিয় হয়েছে, অ্যারাইভালস হলসহ এয়ারপোর্টের কিছুই বদলায়নি।…

হাইলাইটেড -

সিগারেট এবং কতিপয় ব্যক্তিগত স্কেচ

সিগারেট এবং কতিপয় ব্যক্তিগত স্কেচ রাত্রির হালকা শরীর ভেঙে ভেঙে এক সময় পার্কের নির্জন উদাসিন কোনটায় নিজেকে আলতো কোরে রাখি লম্বা বেঞ্চিটার ওপর। লাইটপোস্টটি তখনো জেগে আছে। তুখোড় মাতালের মতো ধুসর চোখে কী দেখছিলো কে জানে! বাতাসের রেশমি চুল উড়ে উড়ে পড়ছিলো গায়ে। মোহময় মনে হচ্ছিলো সমস্ত কিছু। পার্কে প্রচুর লোকজন নেই এখন। যারা আছেন তারা সকলেই ফুলের মতো নিরব। পাঞ্জাবির পকেটে সিগারেটের প্যাকেটটা খুঁজে পেতে কষ্ট হয় না। একটিমাত্র অবশিষ্ট সিগারেট এতোক্ষন নিসঙ্গ একাকি প'ড়ে ছিলো প্যাকেটের এক কোনে যেন নিদারুন শূন্যতাবোধে জর্জরিত ও। ম্যাচের ওপর দিয়ে আমার হাতটি একবার ঘুরে গেলেই হেলমেটের মতো বারুদ লাগানো কাঠির মুখটি উজ্জ্বল হেসে উঠলো। বারুদের হাসিতে সিগারেট সমর্পিত হলেই একটা মিষ্টি অথচ ঝাঁঝালো ঘ্রান আমার আশেপাশে, পাঞ্জাবির বুক পকেটে উস্কোখুস্কো চুলের ভেতর বার কয়েক মৃদু পায়ে পায়চারী কোরে এক সময় অন্য কোথাও চ'লে গেল। ম্যাচটা পকেটে রাখতেই ম্লান স্বরে অস্পষ্ট কিছু বল্লো যেন। সিগারেটের দীর্ঘশ্বাসগুলো আমার ফুসফুসে বিষ নিক্ষেপ কোরে আরো স্বচ্ছ হয় এবং পুনশ্চ ফিরে বস

২.১ সূর্য, চাঁদ এবং আগুনের সন্তান

দ্বিতীয় খণ্ড – সূর্য , চাঁদ এবং আগুনের সন্তান ০৬ . সম্রাটের বিজয় অভিযান এই মাত্র সূর্য ডুবেছে , আকাশে তখন হালকা গোলাপি আভা ছড়িয়ে পড়েছে , যে অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হতে চলেছে তার উপযুক্ত পটভূমিকা যেনো প্রকৃতি স্বয়ং রচনা করেছে , আকবর ভাবলেন। আগ্রার দূর্গের সম্মুখবর্তী কুচকাওয়াজের মাঠ বিভিন্ন রঙে রঞ্জিত পারসিক শতরঞ্জিতে ঢেকে ফেলা হয়েছে , দেখে মনে হচ্ছিলো যেনো একটি ফুল বাগান। মাঠের দুপাশে সারিবদ্ধভাবে সোনার পাত মোড়া কাঠের রেলিং - এর পিছনে আকবরের সেনাপতি এবং উচ্চপদস্থ সভাসদগণ দাঁড়িয়ে ছিলেন। আর সম্মুখে তৃতীয় দলটিতে উপস্থিত ছিলেন সেই সব শাসক যারা আকবরের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন। মধ্যবর্তী স্থানে সবুজ রেশমের শামিয়ানার নিচে মার্বেল পাথরের মঞ্চের উপর একটি বিশাল সোনার দাঁড়িপাল্লা স্থাপন করা হয়েছে। এর সোনার থালা দুটির এক একটি পাঁচ ফুট ব্যাপ্তি বিশিষ্ট এবং চারদিক হীরকাকার গোলাপ - সিলিকা এবং মুক্তা দ্বারা আবৃত। আট ফুট উঁচু ওক কাঠের কাঠামো থেকে মোটা শিকলে বাঁধা অবস্থায় পাল্লার থালাগুলি ঝুলছে। দেহে সোনার কারুকাজখচিত সবুজ রঙের শক্ত আলখাল্লা , গলায় বাঁকা আকৃতির পান্না শোভিত মালা এবং মাথা

এমন সময় বয়স্ক মহিলার রূপ ধারণ করে এক ডাইনি রাজার সামনে এলো।

  অনেকদিন আগের কথা। এক রাজার গল্প বলছি, তার শখ ছিল ঘোড়ায় চড়ে শিকার খোঁজা। একবার ঘোড়ায় চেপে শিকার করতে করতে কখন যে সন্ধ্যা হয়ে গেছে সেদিকে খেয়ালই করেননি। পেছনে তাকিয়ে দেখেন ভৃত্যরাও তার পাশে নেই। রাজা ভৃত্যদেরকে জোরে জোরে ডাকতে লাগলেন। কারো কোনো সাড়া শব্দ নেই। রাজা বুঝে গেলেন তিনি ভৃত্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। এমন সময় বয়স্ক মহিলার রূপ ধারণ করে এক ডাইনি রাজার সামনে এলো। দূর থেকে ঘোড়ায় চড়ে তাদের বাবার মতো কাউকে আসতে দেখে রাজার ছয় ছেলে আনন্দে দৌড়াতে দৌড়াতে দুর্গ থেকে বেরিয়ে এলো। বেরিয়ে আসতেই ডাইনির মেয়ে তাদের ওপর জাদুর কাপড় ছুঁড়ে দিলে তারা ছয়খানা রাজহাঁস হয়ে বনের ওপর দিয়ে উড়ে চলে গেল। ডাইনির মেয়ে জানতোও না যে, রাজার সাত ছেলেমেয়ের মধ্যে ছয় ছেলে দৌড়ে দুর্গ থেকে বেরিয়ে এসেছিল, কিন্তু তাদের ছোট বোন তখনো দুর্গের মধ্যেই ছিল। রাজা সেই বনের ভেতর দিয়ে দুর্গে এসে পৌঁছালেন তার ছেলেমেয়েরা কেমন আছে দেখার জন্য। এসেই তো রাজা হতবাক! তার সাত ছেলেমেয়ের মধ্যে শুধু ছোট মেয়ে রয়েছে। ছোট মেয়েকে জিজ্ঞেস করায় সে তার বাবাকে সবিস্তারে জানালো। তার ভাইয়েরা কেমন করে রাজহাঁস হয়ে উড়ে গেছে গভীর বনের দিকে। জানালা দ

ইতর

ইতর ১. প্রখ্যাত কথাশিল্পী সৈয়দ বাবার আলী তাঁর কথা রেখেছে। এতোটা শরীফা সাক্ৰীন ভাবতেও পারেনি। বাবর যে এতো শিগরি তার সাথে এরকম ভাবে জড়িয়ে যাবে তা সত্যিই শরীফার কল্পনার বাইরে ছিলো। এক ঝলক হালকা হালকা খুশির হাওয়ায় ঝরঝরে হয়ে ওঠে শরীফার মন। শরীফা সৌন্দর্য সচেতন মেয়ে। তবে আত্মনির্ভরশীল একটি বিজ্ঞানসম্মত পেশায় যুক্ত থেকেও রূপ নিয়ে গর্ব করার মতো মধ্যযুগীয় মূর্খতাকে এখনো সে ত্যাগ করতে পারেনি। সচেতন উদাসিনতায় সে নিজেকে প্রকাশিত করতে অভ্যস্ত। তবে সে সুন্দরী। চেহারায় খুব একটা ঘষামাজা না-কোরেও তার সুগঠিত দীর্ঘ শরীরের জন্যে সে সহজেই দৃষ্টি আকর্ষন করে। আর এ জন্যেই ভেতরে ভেতরে এক নীল অহংকার তার অজান্তেই দানা বেঁধে উঠেছে। 'সত্যিই অপূর্ব লাগছে তোমাকে। আর তোমাকে যতো দেখছি ততোই নিজের উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলছি আমি'। হাসতে হাসতে বলে আফসার। ওরা মুখোমুখি বসেছিলো আফসারের অপিসে। আফসার হোসেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। ছাত্র জীবনে সমাজ ভাঙতে আগ্রহী একটি ছাত্র সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলো সে। সমাজে অর্থনৈতিক সমতার পক্ষে এবং শোষনের বিপক্ষে বহু মিছিলে সে নেমেছে। পুলিশের

ইসলামিক বাংলা গল্প- শয়তানের রুপ

বনি ইসরায়েলের বারসিসার কাহিনীঃ বারসিসা ছিল বনী ঈসরাইলের একজন সুখ্যাত উপাসক, ধর্মযাজক,'আবিদ'। তার নিজের মন্দির ছিল আর সেখানে সে একাগ্রভাবে নিজেকে উপাসনায় নিয়োগ করত। বনী ঈসরাইলের তিন জন পুরুষ জিহাদে যেতে চাচ্ছিল, তাদের একমাত্র বোনকে কোথায় রেখে যাবে বুঝতে পারছিল না।তারা সবাইকে জিজ্ঞেস করতে লাগল, 'কোথায় আমরা আমাদের বোনকে রেখে যেতে পারি? তাকে তো আমরা একা ফেলে যেতে পারিনা। কোথায় তাকে রেখে যাওয়া যায়?' তখন তারা তাদেরকে বলল, 'তাকে রেখে যাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান হবে তাকে ঐ উপাসকের কাছে রেখে যাওয়া, সেই-ই সবচেয়ে ধার্মিক ব্যক্তি, আর সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য। তোমাদের বোনকে তার কাছে রেখে যাও,সে তার খেয়াল রাখবে'। তারা আবিদের নিকট গেল। তাকে সব বর্ণনা করে বলল, 'এই হল অবস্থা – আমরা জিহাদে যেতে চাই, আপনি কি কষ্ট করে আমাদের বোনকে দেখে রাখতে প� �রবেন?' সে বলল, 'আমি তোমাদের থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। আমার কাছ থেকে চলে যাও'। তখন শয়তান তাকে প্রলুব্ধ করল, 'তুমি তাকে কার কাছে রেখে আসবে? তুমি যদি তার খেয়াল না রাখো তাহলে হয়ত কোন দুষ্ট লোক তার খেয়াল

১. মনোইতিহাসবিদদের কথা

ফাউণ্ডেশন – সায়েন্স ফিকশন – আইজাক আসিমভ অনুবাদ – জি . এইচ . হাবীব শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞান কল্প - কাহিনীকার। জাতিতে ইহুদী ; জন্ম , ১৯২০ সালে , মস্কো থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ - পশ্চিমের একটি ছোট্ট শহর পেট্রেভিচ - এ। কিন্তু মাত্র তিন বছর পরই সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে কেটেছে তার শৈশব। ওখানেই এক গ্রামার স্কুলে পড়াশোনায় হাতেখড়ি। স্মৃতিশক্তি ছিল খুব ভাল , তাই হাই স্কুলের গণ্ডী পেরোন ষোল বছরে পা দেবার আগেই। ১৯৩৯ এবং ১৯৪১ - এ যথাক্রমে বিএসসি , এবং এমএসসি পাস করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফিলাডেলফিয়া নেভাল এয়ার এক্সপেরিমেন্টাল স্টেশনে কেমিস্ট হিসেবে কিছুদিন কাজ করেন। ১৯৪৫ , ১৯৪৬– এই দুবছর মার্কিন সেনা বিভাগে চাকরি করে কর্পোরাল পদে উন্নীত হওয়ার পর অবসর নেন। ১৯৪৯ সালে পিএইচডি করেন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। তারপর ওখানে নিউক্লেয়িক এসিড নিয়ে কিছুদিন গবেষণা করে ঐ বছরই বায়োকেমিস্ট্রির ইন্ট্রাক্টর হিসেবে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৫৫ সালে উন্নীত হন সহযোগী অধ্যাপক পদে। লেখালেখির আগ্রহ কৈশোর থেকেই। আর তাই দেখে , ১৯৩

সোনালি শিশির

সোনালি শিশির কিবরিয়া চলচ্চিত্রের ব্যবসায় নামবে। কাহিনী রচনার জন্যে প্রথমেই সে নির্বাচন করলো গল্পকার ইসহাক খানকে মুক্তিযোদ্ধা এই তরুন গল্পকার রাজনীতি সচেতন লেখার জন্যে অনেকের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। তবে বাজারে পরিচিতি কম। ছাত্রজীবনে উভয়ে প্রায় একই আড্ডায় ছিলো বোলে বোধহয় কিবরিয়ার এই নামটিই প্রথম মনে পড়েছে। তাছাড়া কেনই বা সে ইসহাককে নির্বাচিত করবে। ব্যবসার জন্যে যে চলচ্চিত্র এখানে তৈরি হচ্ছে, ইসহাক তো সেই ধারার বিরুদ্ধ শিবিরের লোক। তবে ইসহাক সম্মত হলো। ভাবলো, যদি কিছু বাড়তি টাকার বন্দোবস্ত হয় মন্দ কি! জীবন-যাপনটা একটু মসৃন হবে। ঝলমলে পৃথিবীর আলো-ছায়ায় কিছুদিন বেশ স্বচ্ছন্দে সোনালি শিশির পান করা যাবে। এই তো, এর বেশি আর কি চাই! তো খালি মুখে তো আর ছবির কাহিনী নিয়ে আলাপ করা যায় না, চলো সাকুরা যাওয়া যাক। বন্ধুর প্রযোজিত চলচ্চিত্রে যে কোনো একটি চরিত্র জুটিয়ে নেবার আশা এবং সোনালি শিশির পানের নিশ্চয়তা নিয়ে আমিও ওদের সাথে শরিক হয়ে পড়লাম। আহ্ কতোদিন বিলেতি খাই না! গুরুত্বহীন অতিথি হিশেবে আমাকেই রিকশার হেলানে উঁচু হয়ে বসতে হলো। পশ্চাদ্দেশের জন্যে জ

৫ম পর্ব : মানুষের বিজয় উল্লাস

পঞ্চম পর্ব ৫.০১ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে একটা ঠাণ্ডা আবহাওয়া টানা বেশ কয়েকদিন আঁকড়ে ধরে রাখল শহরটাকে। ধবধবে হয়ে উঠল রাস্তাঘাটের চেহারা। হিম শীতল বাতাসে ঝিমিয়ে পড়ল প্লেগের প্রকোপ। পরপর তিন সপ্তাহের পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেল মৃত্যুর হার সত্যিই কমে গেছে। মনে হলো প্লেগ তার স্বৈরাচারী ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। ডাক্তার ক্যাসেল-এর তৈরি সিরাম ব্যবহার করলে এখন অনেক ভাল ফল পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এই চরম প্রত্যাশার মুহূর্তেও কেউ কেউ প্রাণ হারায়। কোয়ারেনটাইন ক্যাম্প থেকে ছাড়া পাওয়া ম্যাজিস্ট্রেট মঁসিয়ে অথন তাদেরই একজন। আগের মত এখনও দিনের বেলায় রাস্তাঘাট শূন্য থাকে। কিন্তু রাত নামার সঙ্গে সঙ্গে আবার লোকজনে ভরে ওঠে ওগুলো। সবার গায়ে ওভারকোট। একটু ভালভাবে লক্ষ করলে চোখে পড়ে, উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার ছাপ মুছে গেছে সবার চেহারা থেকে। মাঝে মাঝে হাসতে দেখা যায় ওদের। তবে এখনও কিছু কিছু লোক ফটকের পাহারাদারদের দৃষ্টি ফাঁকি দিয়ে শহর থেকে পালাবার চেষ্টা করে। জিনিসপত্রের দাম খুব তাড়াতাড়ি নামতে শুরু করল। যেসব মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল তাদের আবার এক সঙ্গে বাস করার সু

নিসঙ্গতা

নিসঙ্গতা ভাগ্যরেখাহীন করতলের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে একসময় ওর হাতটাকে আর হাত মনে হয় না, হাতের অন্যান্য সব রেখাগুলো ধীরে ধীরে ঝাপসা হয়ে যেতে থাকে। ভেসে উঠতে থাকে একটি বিশাল মাঠ, যার বুকের ওপর ঘন লোমের মত রাশি রাশি ঘাসের চুড়াগুলো রোদের কড়া ঝাঁজে হলদে হয়ে উঠেছে—তবু ওদের দেখতে সজীব মনে হয়। যতো দূর চোখ যায় কোথাও কোনো একটি গাছও নেই। শুধু হাতের রেখার মতো আঁকাবাঁকা তামাটে মাটির কতোগুলো রাস্তা কোনোটা আয়ুরেখার মতো, কোনোটা শিররেখার মতো ঝলমল করছে। ওই হাতের রেখার মতো মাঠের মাটির রাস্তাগুলোকে সে সাজাতে চেষ্টা করে। সাজাতে সাজাতে এক সময় সে আর ভাগ্যরেখাটাকে খুঁজে পায় না। ভাগ্যরেখার মতো ঐ রকম কোনো রাস্তাও ওই মাঠে সে কোথাও দেখতে পায় না। তার খুব কষ্ট হয়। মনে হয়— শৈশবে বাগানে আমলকি পাড়তে গিয়ে সে বহুবার পথ হারিয়ে ফেলতো, ছোটদি-কে ডাকতে ডাকতে তার কান্না পেতো, কন্ঠস্বর ভেজা মনে হতো। পাশে সারি সারি গাছ, বাঁশের ঝাড়, হলুদ লতার ঝোঁপ সবকিছুই ঝাপসা হয়ে আসতো। তার গলা ফাটিয়ে চিৎকার কোরে ডাকতে ইচ্ছে হতো : ছোটদি আমি পথ হারিয়ে ফে-লে-ছি… শৈশবের মতো তার কন্ঠস্বর ভেজা হয়ে আসে— কন্ঠ

১. কাউন্সিলম্যান

ফাউণ্ডেশন্স এজ ( ১৯৮১ ) –  সায়েন্স ফিকশন   মূল  :  আইজাক আসিমভ অনুবাদ  :  নাজমুছ ছাকিব কাউন্সিলম্যান ০১ . আমি বিশ্বাস করি না। সেলডন হলের চওড়া সিঁড়ির উপর দাঁড়িয়ে গোলান ট্র্যাভিজ কথাগুলো বলল। দূরে টার্মিনাস সিটি সূর্যের আলোয় ঝলমল করছে। টার্মিনাসের আবহাওয়া মৃদুভাবাপন্ন , স্থল / জলের অনুপাত অনেক বেশি। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তির কারণে এটা হয়ে উঠেছে আরো বেশি আরামদায়ক এবং ট্র্যাভিজের মতে পুরোপুরি নিরানন্দ। আমি এর কোনোটাই বিশ্বাস করি না। হেসে কথাগুলো আবার বলল ট্র্যাভিজ তারুণ্যদীপ্ত মুখে দুধসাদা দাঁতগুলো ঝকমক করে উঠল। ট্র্যাভিজ লম্বা। ঢেউ খেলানো লম্বা কালো চুল। সব সময় নরম ফাইবারের স্যাশ পড়ে। তার সঙ্গী এবং সহকর্মী কাউন্সিলম্যান মানলী কম্পর অস্বস্তির সাথে মাথা নাড়ল। কম্পরের চুল মাখনহলুদ , চোখ নীল। পোশাক - আশাক সব সময় এলোমেলো। সরাসীরা মূলত দুই শব্দের নাম ব্যবহার করে। কম্পর - এর নাম তিন শব্দে। কি বিশ্বাস করো না , ট্র্যাভিজ ? সে জিজ্ঞেস করল ! এই শহর আমরা রক্ষ করেছি , সেটা ? আরে না , টার্মিনাল নিরাপদ থাকবে : সেন চশ বছর আগেই জানতেন। এ - ও জানতেন যে আমরা খুব ভালোভাবেই এই শহর

Copyright © Storyboard ‧ All rights reserved. Web Of Tushar