-->
আমাদের ওয়েবসাইটে সাউন্ড সিস্টেম আছে । আপনি টেক্সট সিলেক্ট করলেই আমাদের সিস্টেম কথা বলবে । মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে "Allow" বাটনে ক্লিক করুন ।

ি, ি...

খুব সাম্প্রতিক পোস্ট হওয়া গল্প - -

Latest Posts

Explore a world of captivating stories from various genres and perspectives with our website dedicated to showcasing the beauty and power of storytelling.

৮. নাম বদল

শুধু নামটা লড থেকে বদলে বেন গারিয় হয়েছে, অ্যারাইভালস হলসহ এয়ারপোর্টের কিছুই বদলায়নি।…

হাইলাইটেড -

এমন সময় বয়স্ক মহিলার রূপ ধারণ করে এক ডাইনি রাজার সামনে এলো।

  অনেকদিন আগের কথা। এক রাজার গল্প বলছি, তার শখ ছিল ঘোড়ায় চড়ে শিকার খোঁজা। একবার ঘোড়ায় চেপে শিকার করতে করতে কখন যে সন্ধ্যা হয়ে গেছে সেদিকে খেয়ালই করেননি। পেছনে তাকিয়ে দেখেন ভৃত্যরাও তার পাশে নেই। রাজা ভৃত্যদেরকে জোরে জোরে ডাকতে লাগলেন। কারো কোনো সাড়া শব্দ নেই। রাজা বুঝে গেলেন তিনি ভৃত্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। এমন সময় বয়স্ক মহিলার রূপ ধারণ করে এক ডাইনি রাজার সামনে এলো। দূর থেকে ঘোড়ায় চড়ে তাদের বাবার মতো কাউকে আসতে দেখে রাজার ছয় ছেলে আনন্দে দৌড়াতে দৌড়াতে দুর্গ থেকে বেরিয়ে এলো। বেরিয়ে আসতেই ডাইনির মেয়ে তাদের ওপর জাদুর কাপড় ছুঁড়ে দিলে তারা ছয়খানা রাজহাঁস হয়ে বনের ওপর দিয়ে উড়ে চলে গেল। ডাইনির মেয়ে জানতোও না যে, রাজার সাত ছেলেমেয়ের মধ্যে ছয় ছেলে দৌড়ে দুর্গ থেকে বেরিয়ে এসেছিল, কিন্তু তাদের ছোট বোন তখনো দুর্গের মধ্যেই ছিল। রাজা সেই বনের ভেতর দিয়ে দুর্গে এসে পৌঁছালেন তার ছেলেমেয়েরা কেমন আছে দেখার জন্য। এসেই তো রাজা হতবাক! তার সাত ছেলেমেয়ের মধ্যে শুধু ছোট মেয়ে রয়েছে। ছোট মেয়েকে জিজ্ঞেস করায় সে তার বাবাকে সবিস্তারে জানালো। তার ভাইয়েরা কেমন করে রাজহাঁস হয়ে উড়ে গেছে গভীর বনের দিকে। জানা...

১. কর্সিকা ভ্রমণ

দ্য কর্সিকান ব্রাদার্স ১. ১৮৪১ সাল। মার্চ মাসের শুরু। কর্সিকা ভ্রমণে আমি বেরিয়ে পড়লাম। ছবির মতোই সুন্দর দেশ কর্সিকা। এ দেশে পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো অনেক কিছুই আছে। কর্সিকা যেতে হলে ঠুলো থেকে জাহাজে চাপবেন। আজাইচো পৌঁছে যাবেন বিশ ঘণ্টার মধ্যে, বাস্তিয়ায় পরের দিন। বাস্তিয়ায় পৌঁছে চলাচলের সুবিধার্থে একশো ফ্রা খরচ করে ঘোড়া কিনতে পারেন। আবার ঘোড়া ভাড়াও করতে পারেন। পাঁচ ফ্রা ভাড়া প্রতিদিন। দাম কম মনে হলেও ঘোড়াগুলো ফেলে দেবার মতো নয়। দুর্গম পাহাড় বা নড়বড়ে সেতু, কোনো কিছুই ওই ঘোড়াদের অজানা নয়। আরোহীরা নিশ্চিন্তে ওদের পিঠে চাপতে পারেন। তাদের পিঠে চাপলে আরোহীদের আর অন্যকিছু করার দরকার নেই। রাশ আলগা করে, চোখ বুজে থাকলেই হলো। ভয়ডর গ্রাহ্য না করে বাহন আপনাকে ঠিক পৌঁছে দেবে নির্দিষ্ট গন্তব্যে। আর শক্তিশালী ঘোড়াগুলো টানা পঁয়তাল্লিশ মাইল চলতে পারে কোনো রকম খাবার ছাড়াই। যাবার পথে চোখে পড়বে কোনো ভাঙা দুর্গ, মনে চাইলে ঘোড়া থামিয়ে কিছুক্ষণের জন্যে ঘুরে আসতে পারেন দুর্গ থেকে। অথবা মন চাইলে দুর্গের বাইরের ছবিও আঁকতে পারেন। ঘোড়ার জন্য দুশ্চিন্তা ক...

০১. মিঃ শার্লক হোমস

রক্ত সমীক্ষা অধ্যায় ০১ [সামরিক চিকিৎসা বিভাগ থেকে অবসরপ্রাপ্ত জন এইচ, ওয়াটসন, এম, ডি-র স্মৃতি-চারণা থেকে পুনর্মূদ্রণ] ০১. মিঃ শার্লক হোমস ১৮৭৮ সালে আমি লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর অব মেডিসিন ডিগ্রী লাভ করি এবং সেনাবিভাগে সার্জনদের জন্য নির্ধারিত পাঠক্রমে যোগদানের জন্য নেট্‌লি যাত্রা করি। সেখানকার পাঠ শেষ করে যথারীতি সহকারী সার্জনরূপে পঞ্চম নর্দাম্বারল্যাণ্ড রেজিমেণ্টের সঙ্গে যুক্ত হয়। সিএ সময়ে ঐ রেজিমেণ্টের কর্মস্থল ছিল ভারতবর্ষ। আমি সেখানে যোগদান করবার আগেই দ্বিতীয় আফগান যুদ্ধ বেধে যায়। বোম্বাইতে জাহাজ থেকে নেমেই জানতে পারলাম আমার রেজিমেণ্ট গিরিবর্ত্মের ভিতর দিয়ে অগ্রসর হয়ে ইতিমধ্যেই শত্রুপক্ষের দেশে প্রবেশ করেছে। আমার মত আরও অনেক অফিসারের সঙ্গে যাত্রা করে নিরাপদেই কান্দাহার পৌঁছলাম এবং আমার রেজিমেণ্টকে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে নতুন কর্মভার গ্রহণ করলাম। সেই অভিযান অনেকের জন্যই এনে দিল সম্মান আর পদোন্নতি, কিন্তু দুর্ভাগ্য  আর বিপদ ছাড়া আমাকে সে আর কিছুই দিল না। আমার বাহিনী থেকে সরিয়া আমাকে বার্কশায়ার বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত করা হলে এবং তাদের সঙ্গেই মাইওয়ান্দের মারাত্...

৪. খাদ

চতুর্থ পর্ব : খাদ অধ্যায় ২১. জন্মদিনের পার্টি 'হ্যাপি বার্থডে,' সেই চিরাচরিত চিৎকার ভেসে আসছে সাতশো মিলিয়ন মাইল : দূর থেকে আলোর গতিতে; ফুটে উঠছে কন্ট্রোল ডেকের ভিশন স্ক্রিনে। পোল পরিবার বেশ স্বার্থপরের মতো একত্র হয়েছে বার্থডে কেকের সামনে। হঠাৎ একদম নীরব হয়ে গেছে তারা সবাই। তারপর মিস্টার পোল আনন্দের ভঙ্গী করে বললেন, 'তো, ফ্র্যাঙ্ক, বলার মতো আর কিছু খুঁজে পাচ্ছি না এ মুহূর্তে পারছি শুধু এটুকু বলতে যে আমাদের চিন্তা চেতনা তোর সাথে সাথেই আছে। আর…উই আর উইশিং ইউ দ্য হ্যাপিয়েস্ট অব বার্থডেজ।' 'নিজের যত্ন নিস, বোকা ছেলে,' মিসেস পোলের কণ্ঠস্বর কেমন একটু বদলে যায়। তিনি কোনোদিন কান্না চাপতে শেখেননি, 'খোদা তোর মঙ্গল করবেন।' এরপর 'গুড বাই' এর একটা ঢেউ খেলে যায় পোল পরিবারের বাসায়। ভিশন স্ক্রিন কালো হয়ে গেলে নিজেকে নিজে বলে পোল, কী অবাক কাণ্ড, এসবই হয়েছে এক ঘণ্টারও বেশি সময় আগে। এতক্ষণে এই পুরো পরিবার যার যার মতো ছিটকে পড়েছে আশেপাশের কয়েক মাইল এলাকায়। এই সময়-পার্থক্য থাকার পরও মেসেজটা যেন ছদ্মবেশী কোনো আশীর্বাদ। আ...

৪.৩ পানিপথ

২২. পানিপথ দিল্লীর উত্তর-পশ্চিমের সমভূমিতে পানিপথের ছোট গ্রামটার কাছে বাবর তার বাহিনী নিয়ে দুদিন আগে শিবির স্থাপন করার সময়ে তার লোকেরা শিবিরের ঠিক মাঝখানে তার বিশাল লাল রঙের নিয়ন্ত্রক তাঁবুটা স্থাপন করেছে। বাবর আর তার চারপাশে সমবেত সামরিক পর্ষদের সদস্যদের এপ্রিল মাসের তীব্র দাবদাহের হাত থেকে তাবুটা সামান্যই স্বস্তি দান করতে পারছে। তাবুর পর্দা টেনে দেয়া হলে ভেতরের পরিবেশ নিমেষেই শ্বাসরুদ্ধকর হয়ে উঠে। চামড়ার দড়ি দিয়ে বেঁধে পর্দা সরিয়ে দেয়া হলে তীব্র বাতাসের সাথে বয়ে আসা ধূলিকণা চোখে খোঁচা দিয়ে নাকে গুতো মেরে নিমেষেই অস্থির করে তোলে। বাতাসের গতি রোধ করতে তাবু থেকে কয়েক গজ দূরে স্থাপিত মোটা খয়েরী চাদরের বেড়া দিয়ে পরিবেশের সামান্যই উন্নতি হয়। বাতাসের দিকে পিঠ দিয়ে বাবর তার নির্ধারিত সোনার গিল্টি করা আসনে উপবিষ্ট। স্থানীয়ভাবে উৎপন্ন লেবুর সাথে পানি এবং পাহাড় থেকে নামবার সময়ে যত্নের সাথে সংরক্ষণ করে নিয়ে আসা বরফের বেঁচে থাকা অংশের কিছুটা মিশিয়ে তৈরি শরবতে চুমুক দেয়। বাবুরী বাবরের বামপাশে আসনপিড়ি হয়ে শরবতের পেয়ালা হাতে বসে আছে এবং প্রতিবার চুমুক দ...

স্বর্ণমৃগ

আদ্যানাথ এবং বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী দুই শরিক। উভয়ের মধ্যে বৈদ্যনাথের অবস্থাই কিছু খারাপ। বৈদ্যনাথের বাপ মহেশচন্দ্রের বিষয়বুদ্ধি আদৌ ছিল না , তিনি দাদা শিবনাথের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করিয়া থাকিতেন। শিবনাথ ভাইকে প্রচুর স্নেহবাক্য দিয়া তৎপরিবর্তে তাঁহার বিষয়সম্পত্তি সমস্ত আত্মসাৎ করিয়া লন। কেবল খানকতক কোম্পানির কাগজ অবশিষ্ট থাকে। জীবনসমুদ্রে সেই কাগজ - কখানি বৈদ্যনাথের একমাত্র অবলম্বন। শিবনাথ বহু অনুসন্ধানে তাঁহার পুত্র আদ্যানাথের সহিত এক ধনীর একমাত্র কন্যার বিবাহ দিয়া বিষয়বৃদ্ধির আর - একটি সুযোগ করিয়া রাখিয়াছিলেন। মহেশচন্দ্র একটি সপ্তকন্যাভারগ্রস্ত দরিদ্র ব্রাহ্মণের প্রতি দয়া করিয়া এক পয়সা পণ না লইয়া তাহার জ্যেষ্ঠা কন্যাটির সহিত পুত্রের বিবাহ দেন। সাতটি কন্যাকেই যে ঘরে লন নাই তাহার কারণ , তাঁহার একটিমাত্র পুত্র এবং ব্রাহ্মণও সেরূপ অনুরোধ করে নাই। তবে , তাহাদের বিবাহের উদ্দেশে সাধ্যাতিরিক্ত অর্থসাহায্য করিয়াছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর বৈদ্যনাথ তাঁহার কাগজ - কয়খানি লইয়া সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত ও সন্তুষ্টচিত্তে ছিলেন। কাজকর্মের কথা তাঁহার মনেও উদয় হইত না। কাজের মধ্যে তিনি গাছের ডাল কাটিয়া বসিয়া বসিয়া বহ...

০১. আমার জীবনের প্রথম স্মৃতি

Table of Contents - বসু - বাড়ি – শিশিরকুমার বসু প্রথম প্রকাশ : আষাঢ় , ১৩৭২ আমার জীবনের প্রথম স্মৃতি , যেটা আজ কেবল আবছা - আবছা মনে পড়ে , সেটা কিন্তু এখন খুবই মজার বলে মনে হয়। যদিও যখন সেটা ঘটেছিল তখন সেটাই আমার জীবনের সমাপ্তি হতে পারত। বয়স তখন আমার বছর চারেক হবে , কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়ে শ্রীনগরের হাউসবোট থেকে ঝেলাম নদীতে পড়ে গিয়ে তলিয়ে গেলাম। বাবা ও মা , শরৎচন্দ্র ও বিভাবতী বেরিয়েছেন। আমার দাদাভাই ও মাজননী আছেন পাশের অন্য এক হাউসবোটে। এইখানে বলে রাখি যে , আমরা আমাদের পিতামহ জানকীনাথকে দাদাভাই ও পিতামহী প্রভাবতাঁকে মাজননী বলে ডাকতুম। আমার দিদি ও এক দাদা অবাক হয়ে দেখছে আমি নদীর জলে ডুবছি আর উঠছি। কিছু একটা ঘটেছে আন্দাজ করে একটি লোক ছুটে এল , নাম তার কালু সিং ! আমার পোশাকের অংশ জলের ওপর দেখতে পেয়ে সে জলে ঝাঁপ দিয়ে আমাকে টেনে তুলল। কালু সিং পাহাড়ি লোক , সাঁতার জানে না , তাও জলে ঝাঁপ দিল। আমাদের বাড়ির কথা বলতে গেলে কালু সিংকে বাদ দেওয়া যায় না। তার সম্বন্ধে পরে কিছু বলব। কাশ্মীরে বাবা - মা আমাদের ভাইবোনদের নিয়ে বেড়াতে গেছেন। সঙ্গে নিয়ে গেছেন দাদাভাই ও...

সুভা

মেয়েটির নাম যখন সুভাষিণী রাখা হইয়াছিল তখন কে জানিত সে বোবা হইবে। তাহার দুটি বড়ো বোনকে সুকেশিনী ও সুহাসিনী নাম দেওয়া হইয়াছিল , তাই মিলের অনুরোধে তাহার বাপ ছোটো মেয়েটির নাম সুভাষিণী রাখে। এখন সকলে তাহাকে সংক্ষেপে সুভা বলে। দস্তুরমত অনুসন্ধান ও অর্থব্যয়ে বড়ো দুটি মেয়ের বিবাহ হইয়া গেছে , এখন ছোটোটি পিতামাতার নীরব হৃদয়ভারের মতো বিরাজ করিতেছে। যে কথা কয় না , সে যে অনুভব করে ইহা সকলের মনে হয় না , এইজন্য তাহার সাক্ষাতেই সকলে তাহার ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করিত। সে যে বিধাতার অভিশাপস্বরূপে তাহার পিতৃগৃহে আসিয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছে এ কথা সে শিশুকাল হইতে বুঝিয়া লইয়াছিল। তাহার ফল এই হইয়াছিল , সাধারণের দৃষ্টিপথ হইতে সে আপনাকে গোপন করিয়া রাখিতে সর্বদাই চেষ্টা করিত। মনে করিত , আমাকে সবাই ভুলিলে বাঁচি। কিন্তু , বেদনা কি কেহ কখনো ভোলে। পিতামাতার মনে সে সর্বদাই জাগরূক ছিল। বিশেষত , তাহার মা তাহাকে নিজের একটা ত্রুটিস্বরূপ দেখিতেন ; কেননা , মাতা পুত্র অপেক্ষা কন্যাকে নিজের অংশরূপে দেখেন – কন্যার কোনো অসম্পূর্ণতা দেখিলে সেটা যেন বিশেষরূপে নিজের লজ্জার কারণ বলিয়া মনে করেন। বরঞ্চ , কন্যার পিতা বাণী...

উপদ্রুত উপকূল (১৯৭৯)

উপদ্রুত উপকূল ( কাব্যগ্রন্থ ) – রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ উৎসর্গ থামাও , থামাও এই মর্মঘাতী করুন বিনাশ এই ঘোর অপচয় রোধ করো হত্যার প্লাবন শিরাজ শিকদার শেখ মুজিবুর রহমান আবু তাহের প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ প্রকাশক : আহমদ ছফা , বুক সোসাইটি , ঢাকা অভিমানের খেয়া এতোদিন কিছু একা থেকে শুধু খেলেছি একাই , পরাজিত প্রেম তনুর তিমিরে হেনেছে আঘাত পারিজাতহীন কঠিন পাথরে। প্রাপ্য পাইনি করাল দুপুরে , নির্মম ক্লেদে মাথা রেখে রাত কেটেছে প্রহর বেলা - এই খেলা আর কতোকাল আর কতোটা জীবন ! কিছুটাতো চাই — হোক ভুল , হোক মিথ্যে প্রবোধ , অভিলাষী মন চন্দ্রে না - পাক জোস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই , কিছুটাতো চাই , কিছুটাতো চাই। আরো কিছুদিন , আরো কিছুদিন — আর কতোদিন ? ভাষাহীন তরু বিশ্বাসী ছায়া কতোটা বিলাবে ? কতো আর এই রক্ত - তিলকে তপ্ত প্রনাম ! জীবনের কাছে জন্ম কি তবে প্রতারনাময় ? এতো ক্ষয় , এতো ভুল জ ' মে ওঠে বুকের বুননে , এই আঁখি জানে , ...

৩. মানুষের বল তৈরি

তৃতীয় খন্ড ১ রূপকথার গল্পকার স্বপ্নে মিকি দেখছে যে মানুষের বল তৈরি করছে সে। স্বপ্নটা এরকমঃ ছোট একটা রুমে অন্য একজনের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে মিকি। রুমটায় আসবাব বলতে একটা আলমারি আর টেবিলের ওপর রাখা টিভি। মিকির মুখোমুখি দাঁড়ানো ব্যক্তির হাতে বিশাল একটা ক্ষত। সেই হাতটা ধরে ম্যাসাজ করতে শুরু করলো মিকি। অবাক হয়ে খেয়াল করলো যে লোকটার ত্বক অনেকটা কাদার মতন। মিকি লেপে দেয়া। মাত্র ক্ষতটা দূর হয়ে গেল। নিজেকে অনেকটা মাটির কুমোরের মতন মনে হলো তার। তাই কুমোর যেরকম তার সৃষ্ট কাজে মসৃণতা আনার চেষ্টা করে, মিকিও লোকটার দেহ থেকে সব অমসৃণতা দূর করে ফেলবে বলে ঠিক করলো। প্রথমেই হাত দুটো একসাথে চেপে ধরলো। জোড়া লেগে গেলো ও'দুটো। এরপর রুটি বানানোর আগে আটা যেভাবে কাই করতে হয়, সেভাবে তার পুরো দেহটাই পিষতে শুরু করলো মিকি। পুরোটা সময় চোখ বড় বড় করে সবকিছু দেখলো লোকটা। কিছুক্ষণ পর দেখা গেল মিকির সামনে কোমর সমান উচ্চতার একটা গোলক। তবে এখান সেখান থেকে বেরিয়ে থাকা কিছু চুল দেখে বোঝা যাবে যে গোলকটা একজন মানুষের তৈরি। সমতল পৃষ্ঠে একটা চোখ অবশ্য দেখা যাচ্ছে। ...

Copyright © Storyboard ‧ All rights reserved. Web Of Tushar